নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :
পেকুয়ায় কেনাকাটায় ঝুঁকছে তরুন-তরুনীরা। নতুন প্রজন্মের নর-নারীর পদচারনায় পেকুয়ায় শিল্প ও বানিজ্য মেলার আকর্ষণ ও প্রসার বেড়েছে। প্যাভেলিয়ন ও স্টলগুলোতে সন্ধ্যার দিকে ভীড় করছে দর্শনার্থী। তারা পছন্দের পন্য সামগ্রী এ সব স্টলগুলো থেকে ক্রয় করছে। এ প্রথম পেকুয়ায় ডিজিটাল মেলার আয়োজন। তরুন-তরুনীসহ সব বয়স ও শ্রেনীর মানুষ মেলায় জড়ো হচ্ছে। নান্দনিক শৈল্পিক পণ্য তারা ক্রয় করছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার দিকে প্রচন্ড দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। মেলা প্রাঙ্গনে হাজার হাজার নারী পুরুষ জড়ো হচ্ছে। এ সব দর্শনার্থী মেলার শৈল্পিক আয়োজন সমুহ উপভোগ ও প্রত্যক্ষ করছে। আপন কমিউনিকেশন মেলার উদ্যোক্তা। হস্ত, বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলার আয়োজক তারা। পেকুয়ায় এ প্রথম ব্যতিক্রমধর্মী মেলাটি অনুষ্টিত হয়েছে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ায় খেলার মাঠে চলছে মেলা। প্রতিদিন ছড়িয়ে পড়ছে মেলার আকর্ষন ও নান্দনিকতা। প্রচুর কেনাকাটার স্টল বসে এ মেলায়। রাজধানী ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা মেলায় স্টল নিয়েছে। তারা মেলার আকর্ষন ছড়িয়ে দেয়। গার্মেন্টস পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছে তারা। রাজধানীর গুলিস্তান মার্কেট, ফুলবাড়িয়া মার্কেট ও বিভিন্ন অলিগলিতে যে সব ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী উৎকৃষ্ট মানের পোশাক বিক্রি করে তারা পেকুয়ায় বানিজ্য মেলায় স্টল নেয়। বিভিন্ন ব্রান্ডের শার্ট, গেঞ্জি, পাঞ্জাবী, ফতুয়া, কোট, জিন্স এর প্যান্টসহ চোখ জুড়ানো পোশাক পাওয়া যাচ্ছে এ সব দোকানগুলোতে। এ ছাড়া লেডিস কালেকশনের চমকপ্রদ সমাহার তৈরী হয়েছে এ মেলায়। প্রতিদিন পণ্যের কালেকশন চলছে এ সব দোকানগুলোতে। তরুনীদের পোশাকের আলাদা দোকান রয়েছে। আকর্ষনীয় পোশাকের সম্ভার আছে এ সব দোকানে। কেনাকাটায় নারীরা এগিয়ে। তারা শাড়ি, সেলোয়ার ও ত্রিপিস কিনছে মেলা থেকে। এ ছাড়া প্রসাধনীর বিপুল সমাহার ঘটেছে মেলায়। দেশী ও বিদেশী কসমেটিক পাওয়া যাচ্ছে এ মেলায়। কোকারিস সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে মেলায়। বহু পন্যের একক স্টল আছে। এ্যামিটিশন অলংকার এর স্টল আছে মেলায়। নারীরা কয়েকটি জুয়েলারি দোকানে ভীড় করছে কেনাকাটায়। ঢাকার লালবাগের হালিমের দোকান খোলা হয়েছে। চটপটি ও সুশ^াদু হালিম ভক্ষন করতে রেস্টুরেন্টে নারী ও পুরুষের প্রচন্ড ভীড়। মেলার প্রধান আকর্ষন ডিজিটাল সার্কাস। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শো প্রদর্ষন করা হচ্ছে। নৃত্য, যাদু, অভিনয় ও নান্দনিক মিউজিউশিয়ান এর সমন্বয়ে ডিজিটাল সার্কাসের আয়োজন। একদল শিল্পী বিভিন্ন খেলা ও অভিনয় প্রদর্শন করে সার্কাসকে দর্শক আকৃষ্ট করেছে। মৃত্যুকুপ এর মাধ্যমে রাশিয়ান কলাকৌশলে চলছে ডেনজার গেম। এ কুপে কার চলছে গাছের মধ্যে। মানুষ এ খেলা প্রত্যক্ষ করছে। টিকেট কেটে দর্শনার্থী এ সব প্রদর্শনী প্রত্যক্ষ করছে। যাদু প্রদর্শন করা হচ্ছে মেলায়। মেলায় নতুন মঞ্চস্থ করা হয়েছে নৃত্য ও সঙ্গীত আয়োজন। উদীয়মান নবাগত শিল্পীর অংশগ্রহনে দর্শক মাতাচ্ছে এ আয়োজন। ব্যাপক আলোকসজ্জা করা হয়েছে। একটি দৃষ্টিনন্দন টাওয়ার স্থাপিত হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে আলোর ঝলমলে এ টাওয়ার বৈদ্যুতিক আলোয় প্রানবন্ত করছে। প্রবাসীর স্ত্রীরা কেনাকাটায় ব্যস্ত। তারা পর্দানশীল। অধিকাংশ গৃহবধূ নেকাপ পরে মেলায় পদচারনা করে। অনেকে স্বপরিবারে এসে মেলা প্রত্যক্ষ করছেন। নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করছে। পুলিশের বেশ কিছু জোয়ান মেলায় সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছে। আয়োজক কমিটি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়। সিসি ক্যামরা মেলায় বসানো হয়েছে। সব কিছু মনিটরিং করা হচ্ছে সিসি ক্যামরার মাধ্যমে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিদ্র হওয়ায় নারীরা ব্যাপকভাবে আগ্রহী হয়েছেন। তারা সন্ধ্যা নামলেই মেলায় চলে যান।
################
পেকুয়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা
পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা অনুষ্টিত হয়। ৯ এপ্রিল সোমবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়াত আজিজ রাজুর সভাপতিত্বে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুভ্রত দাশ এর উপস্থাপনায় এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব উল করিম, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালীর চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম,শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, বারবাকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ,এইচএম বদিউল আলম জিহাদী, শিলখালীর চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন, পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা পরিষদ কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রাজনৈতিক নেতৃবর্গ, জনপ্রতিনিধিসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এ সময় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: